তিনি চাকরি করেন লালমোহনে, মাসকে মাস ছুটি কাটান ভারতে

লালমোহনে প্রাথমিক বিদ্যালয়েরএক প্রধান শিক্ষক ছুটি না নিয়েবছরে ৩ থেকে ৪ বার ভারত গিয়েমাসকে মাস অবস্থান করারঅভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলারচরভূতার মুগোড়িয়া বাজারের দঃ চরমিয়াজী সরকারী প্রাথমিকবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঙ্করমজুমদার স্ব-পরিবারে পাশ্বর্তী দেশভারতে ১ ছেলে ১ মেয়ে ও স্ত্রী ২০১৩সাল থেকে ভরতের পশ্চিমবঙ্গেরবর্ধমান জেলার কুকশিমলা গ্রামেবসবাস করে। প্রধান শিক্ষক সঙ্করমজুমদার প্রতিবছর ৩ থেকে ৪ বারভারতে গিয়ে মাসকে মাস সেখানেপরিবারের সাথে অবস্থান করে। ছুটিবর্হিভূত ও অন্য একজন সহকারী শিক্ষক দিয়ে প্রধান শিক্ষকের নামে  হাজিরা খাতায়স্বাক্ষর দেওয়া ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দেশ ত্যাগ মর্মে বিদ্যালয়ের সভাপতিউপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর প্রধান শিক্ষকের নামে অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক  তার ছেলে ও মেয়ে বিদেশে অবস্থান  করলেও তার বিল বেতেনেরসাথে ছেলে মেয়ের শিক্ষা ভাতার নামে মাসিক ১ হাজার টাকা করে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকাঅবৈধ ভাবে ভোগ করেছে। এই প্রধান শিক্ষক তার স্থাবর  অস্থারব সকল সম্পত্তি বিক্রিকরে মুগড়িয়া বাজারের পাশ্বর্তী একটি কাচারীতে নিজে রান্নবান্না করে জীবন যাপন করেন।ধারণা করা হয় তার ছেলে মেয়ে সহ পরিবারের সকলে ভারতের নাগরিত্ব নিয়ে সেখানেবসবাস করছে। দুই দেশে পা রাখা এই শিক্ষক  সরকারী  চাকরীর সুবিধার্থে বাংলাদেশেঅবস্থান করলেও তার মন পড়ে রয়েছে ভারতের বর্ধমানে। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহমুদুল হক জানান, প্রধান শিক্ষকবিভিন্ন ছোট খাট ছুটি আসলেই ছুটির আগে পিছে অনেক দিন অন্য একজন সহকারীশিক্ষক দিয়ে  হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে ভারতে অবস্থান করেন। তাছাড়াও তার ছেলেমেয়ে প্রায় ৬/৭ বছর ভারতে অবস্থান করলেও ছেলে মেয়েদের শিক্ষাভাতার নামে প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত বেতন উত্তোলন করে যা সম্পুর্ণ অবৈধ। আমি বার বারতাকে এসকল বন্ধ করতে বললেও সে আমাকে অগ্রাহ্য করে এসকল অবৈধ কাজ করায়আমি প্রায় ১৫ দিন পূর্বে তার বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসারে বরাবর অভিযোগ পত্রদায়ের করি। ভারতে থাকার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সঙ্কর মজুমদার বলেন,  আমার ছেলে মেয়ে ২০১৩সাল থেকে  ভারতে পড়াশুনা করে এবং আমার স্ত্রীও সেখানে থাকে বিধায় আমাকে ছুটিপেলে ভারতে  যেতে হয়, ভারতে যেতে কারো অনুমতি নেওয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, শিক্ষাভাতা পেতে ২০১৩ সালের পর আমি কোন প্রত্যয়ন পত্র জমা দেইনি। প্রত্যয়ন পত্র ছাড়া একজন শিক্ষক কিভাবে শিক্ষা ভাতা ভোগ করে এমন প্রশ্ন করলেউপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমেরিকা থেকে পড়াশুনা করলেও সেশিক্ষাভাতা পাবে এবং সে ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে কোন কিছু জানেন না। অন্যদিকে ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার বলেন, দেশত্যাগকরতে হলে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরপ্রত্যয়ন পত্র ছাড়া শিক্ষাভাতা পেতে পারেন না। বিদ্যালয়ের সভাপতি এসকল বিষয়ে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে থাকলে সে ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

Read more

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চরফ্যাশনে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ

ভোলার চরফ্যাশনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগনেতার বিরুদ্ধে বহুতল পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ মনকি পৌরসভা থেকেভবন নির্মাণের জন্য কোনো নকশা ও অনুমোদন নেয়নি তিনি। বহুতল ভবনটি নির্মাণ হচ্ছে চরফ্যাশন পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র চরফ্যাশন বাজারে। ওই জমিনিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী মো.দেলোয়ার হোসেনসহ ২৮ জন জমির প্রকৃত মালিক মহব্বতআলী বেপারীর ওয়ারিশ (নাতি-নাতনি) আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার আলোকেআদালত জমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ভবনটি নির্মাণের জন্য আবেদনকরেছেন চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নান্নু।কিন্তু ভবনের নকশার এখনও অনুমোদন হয়নি। অনুমোদন ছাড়াই কেনো ভবন নির্মাণকরছেন তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার এজাহার, জমির দলিল ও মৌখিক অভিযোগে জানা যায়, ভোলার চরফ্যাশনউপজেলার জিন্নাগড় মৌজার (চরফ্যাশন বাজার) ৫৫১ নম্বর খতিয়ানের ১ দশমিক ৫৬শতাংশ জমি ১৯৪৮-৫৯ সালে ভুমি অফিস উপজেলার উত্তর মাদ্রাজ গ্রামের বাসিন্দামোহাব্বত আলী বেপারীকে বন্দোবস্ত দেয়। জমিটি চরফ্যাশন বাজারের চান্দিনা ভিটা।বর্তমান মূল্য কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা। ওই জমিতে ঘর তুলে মোহাব্বত আলী বেপারীচুক্তিপত্র ছাড়াই মতিউর রহমান দফাদারকে ভাড়া দেন। হঠাৎ ১৯৫৪ সালে মোহাব্বাতআলী বেপারী মারা যান। পরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধে রাজাকার হিসাবে চিহ্নিত মতিউররহমান দফাদার মারা গেলে দোকান পরিচালনা করেন তার ছেলে আবু তাহের। আবুতাহেরের কাছ থেকে দোকানের মালিকানা পরিবর্তন হয়ে মালিক হয় বর্তমান চরফ্যাশনআওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল ইসলাম। এর পর থেকে মোহাব্বত আলীবেপারীর ওয়ারিশরা দোকানের যায়গা দাবি করলে তাদেরকে কিছু দিন ভাড়া দিয়ে আসলেওএক সময় ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলমান ছিল।সম্প্রতি ওই জমিতে নুরুল ইসলাম আসপাশের দোকান মালিকদের নিয়ে বহুতল পাকাভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ ঘটনায় বাদিপক্ষ চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজআদালতে নির্মাণ কাজের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করে। আদালত গত ২৬ ফেব্রুয়ারী ওইজমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কিন্তু নুরুল ইসলাম আদালতের নিষেধাজ্ঞাঅমান্য করে নির্মাণ কাজ  চালিয়ে যাচ্ছেন। বাদিপক্ষ আরও বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজ চরফ্যাশন থানা পুলিশকে দেখালেপুলিশ গত বৃহষ্পতিবার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু পরের দিন নুরুল ইসলাম নান্নুক্ষমতার প্রভাবে আবারও কাজ চালু করেন। জানা যায়, নুরুল ইসলাম পক্ষ শ্রমিক নিয়েপ্রকাশ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বাজারের মেইন সড়ক দখল করে মালামাল ওশ্রমিক থাকার ঘর নির্মাণ করেছেন এবং সড়কের ওপর ইট-বালু ও রড রেখেছেন। এতেলোকজনের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া বলেন, গত ৫০ বছর ধরে এ জমি আমার দখলে। হঠাৎ করে আমাকে অযথা ভোগান্তির মধ্যেফেলার জন্য মো. ফারুক বেপারী আদালতে মামলা করেছে। রোববার আদালতে শুনানীহয়েছে। আদালত স্থিতাদেশ দিয়েছেন কিনা জানিনা। আমি ১৯৭৫সাল থেকে এ জমিরদখলে আছি। তিনি আরও বলেন, জমিটি আমি ১০-১২ দিন আগে কাজ শুরুকরেছি। জমির মালিকমহব্বত আলী বেপারী জনৈক আবু তাহের পক্ষের নিকট ১৯৫৫ সালে বিক্রি করেছেন।আমি আবু তাহেরের ছেলে মো. জাকির হোসেন ও স্ত্রী বিবি তহুরা বেগমের নিকট সাড়ে ৮৪সহ¯্রাংশ জমি কিনেছি। এ দাগে আরও ৭২সহ¯্রাংশ জমি বাকী আছে। সে জমি যাদেরদখলে আছে, তাঁদের নামে কোনো মামলা হয়নি বা তাঁদের বিবাদী করেনি। এসময় তিনিমোহব্বত আলী বেপারী আবু তাহেরের নিকট এ জমি বিক্রি করছে বলে একটি দলিলেরডুপ্লিকেট কপি দেখায়। কিন্তু কিনেছেন এরকম কোনো দলিল দেখাতে পারেননি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিআদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করিনি। এ ভবনের কাজ শুরু হয়েছে গত ২১ফেব্রুয়ারী। এজমিতে আমরা এক সঙ্গে ৫ জন ভবন তুলতেছি। তবে আমি ২৮ ফেব্রুয়ারী আদালতেরএকটি কাগজ পেয়েছি।

Read more

ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা নিয়ে সবশেষ যা বললেন চিকিৎসকরা

লাইফ সাপোর্টে আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা নিয়ে বঙ্গবন্ধু ভর্তি হওয়ার দশ ঘণ্টা পর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফিংয়ে আসেন শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসকরা। রোববার সন্ধ্যার পর এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ওবায়দুল কাদেরের সবশেষ অবস্থা।

Read more