অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কিভাবে?

ঢাকার চকবাজারে কসমেটিকসের ব্যবসা করেন ফিরোজ। তার ভাই হীরা মারা গেছে আগুনে। তার দাবি পুরো ঘটনাই তার চোখের সামনে ঘটেছে।

পুরনো ঢাকার চকবাজারের ব্যস্ত এলাকায় চুড়িহাট্টায় যে ভবনে আগুনে লেগেছে তার থেকে তিনটি বাড়ি দূরে কসমেটিকস ব্যবসায়ী ফিরোজ থাকেন।

বিবিসি বাংলার ফারহানা পারভীনকে তিনি জানিয়েছেন যে আগুনে তার ভাই হীরা মারা গেছে।

“এছাড়া এই এলাকায় নিয়মিত যাদের সাথে আড্ডা দেই বন্ধু-বান্ধব সব মিলিয়ে অন্তত ২৫ জনের খোঁজ পাচ্ছিনা। সব মৃতদেহ এখনো দেখতে পারিনি”।

মিস্টার ফিরোজ বলেন, আগুন লাগার ঘটনাটি তিনি নিজেই দেখেছেন, কিন্তু এমন হবে তা ভাবতে পারেননি।

“ঘটনাটা রাত ৮:৪৫ মিনিটের দিকে। চুড়িহাট্রার ওই কোনায় রাস্তায় একটি মাইক্রোবাস দাঁড়ানো ছিলো।”

“উপরে ছিলো বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার। হঠাৎ ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়ে মাইক্রোবাসটিতে পড়ে। এর মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে পাশে কেমিক্যাল দোকান ছিলো সেখানে লেগে গেলে মুহুর্তের মধ্যে তা পুরোপুরি ছড়িয়ে যায়।”

চকবাজারের আগুন
একটি মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

যদিও ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ উভয় পক্ষই বলেছে ‘ওয়াহিদ ম্যানশন’ নামে একটি ভবনের বেজমেন্টে কেমিক্যাল মজুত ছিলো।

ফিরোজ বলছেন, ওয়াহিদ ম্যানশন এরপর প্লাস্টিকের মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়লো আরো বেশি। আর ওদিকে ক্যামিকেল মজুতে একটার পর একটা বিস্ফোরণ।

“এভাবে আশে পাশের ৮/১০ টা দোকান। যতই পানি মারে আরও তা বিকট হয়। ওয়াহিদ ম্যানশন, হায়দার মেডিকেল, হোটেলে আগুন লেগে যায়। বন্ধু-বান্ধব সার্কেলের ২৫ জনকে পাচ্ছিনা।”

তিনি বলেন, ফার্মেসিতে থাকা লোকজন ভেবেছিলো সামনে কেউ বোমা মেরেছে এবং এই ভেবে তারা দোকানের শাটার বন্ধ করে দেয়।

“আমার ভাই ফার্মেসির মধ্যে ছিলো। শাটার বন্ধ করেছিলো ভয়ে। আশঙ্কা করছি তারা ভেতরেই মারা গেছে কিনা। ভোর ৫টা পর্যন্ত টানা অপেক্ষা করেছি কিন্তু মৃতদেহ পাইনি।”

আপনার মন্তব্য জানান

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.